প্রাথমিক
বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্নের কাঠামো ও মানবন্টন প্রকাশ |
আসসালামুআলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক |
ইতি মধ্যে আপনারা অবগত হয়েছেন যে আগামী ৩০ শে ডিসেম্বর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে | ১৩ দীর্ঘ বছর পরে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে | অনেক শিক্ষার্থী এখনো সিলেবাস সম্পর্কে অবগত নয় | এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলা ইংরেজী গণিত ও বিজ্ঞানের সাজেশন আকারে দেওয়া হবে | আশাকরি শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে|
একসময় বাছাই করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে হতো প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। সেটি বাদ দিয়ে ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা। এতে সব শিক্ষার্থীই বৃত্তি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারত; যদিও পিইসি পরীক্ষা নিয়ে ছিল সমালোচনা। করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা বিবেচনায় নিয়ে তিন বছর ধরে পিইসি পরীক্ষা হচ্ছে না। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শ্রেণিতেও তা বাস্তবায়ন করা হবে, যেখানে প্রথাগত পরীক্ষাকে কম গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিক মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় বছরের একেবারে শেষবেলায় এসে আকস্মিকভাবেই এ বছর সেই পুরোনো ব্যবস্থার মতো প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা হবে ৪ বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের। দুই ঘণ্টায় এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা সদরে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির বাছাই করা ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। অন্যরা এ সুযোগ পাবে না।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ কথা জানান। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে হবে এ বৃত্তি পরীক্ষা। প্রতিটি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এক দিনেই দুই ঘণ্টায় হবে এ পরীক্ষা। বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় যে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী এগিয়ে থাকবে, তারাই এ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
পরীক্ষার সময় ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্নের কাঠামো ও মানবন্টন প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। আগামী ৩০ ডিসেম্বর উপজেলাভিত্তিক এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলা, ইংরেজি, প্রাথমিক গণিত ও প্রাথমিক বিজ্ঞান—এ চারটি বিষয়ে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষায় শিক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্র সম্বলিত বুকলেট সরবরাহ করা হবে। বুকলেটের নির্ধারিত জায়গায় টিক চিহ্ন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে লিখে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। পৃথকভাবে উত্তরপত্র সরবরাহ করা হবে না।
এতে বলা হয়েছে, প্রতি বিষয়ে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর। প্রতি প্রশ্নের চারটি অপশনের মধ্যে সঠিক উত্তরটিতে টিক চিহ্ন দিতে হবে। সঠিক উত্তর নির্বাচনে একাধিক অপশনে টিক চিহ্ন দেওয়া যাবে না। একাধিক অপশনে টিক চিহ্ন দেওয়া হলে নির্ধারিত নম্বর দেওয়া হবে না।
আরও বলা হয়,
- বাংলা বিষয়ে দুটি অনুচ্ছেদ দেওয়া থাকবে। দুটি অনুচ্ছেদ থেকে চারটি করে আটটি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে এবং অপর সাতটি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন পুরো বই থেকে থাকবে। একটি রচনামূলক প্রশ্ন থাকবে, যার মান ১০ নম্বর।
- গণিত বিষয়ে পুরো বই থেকে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। দুটি সমস্যা সমাধানমূলক প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটির মান ৫ নম্বর করে মোট ১০ নম্বর।
- ইংরেজি বিষয়ে পুরো বই থেকে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। একটি বিষয়ে অনুচ্ছেদ লিখতে হবে, যার মান ১০ নম্বর।
- প্রাথমিক
বিজ্ঞান বিষয়ে পুরো বই থেকে ১৫টি
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। দুটি রচনামূলক প্রশ্ন থাকবে, প্রতিটির মান ৫ নম্বর করে
মোট ১০ নম্বর।
Comments
Post a Comment